ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এবারের মিস ইউনিভার্সে কী হয়েছিল মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশের সঙ্গে? স্বপ্ন নিয়েতে লিখতে এসে যেভাবে নিজেকে ‘আবিষ্কার’ করলাম যে ৫ উপায়ে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি হবেন আরও সুখী বিসিএসে রিপিট ক্যাডার বন্ধ কেন জরুরি, এতে লাভ কার? জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নিয়োগ, পদ ১০১ ৫০তম বিসিএস: নন-ক্যাডার পদ নির্ধারিত না হওয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিলম্ব ‘সিন্ডিকেট’ ছেড়ে আফসোস করি: তাসনুভা তিশা জন্মদিনে নানা রকম মিম, রইল ১২টি ছবি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আর কিছু বলতে চান না অস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী আর্জেন্টিনা দলের সবার শরীরে ট্যাটু, আলভারেজের নেই কেন

আমি দলেই ঢুকতে পারি কি না, এমন একটা অনিশ্চয়তা ছিল’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রশ্ন: 

বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। আপনি তো ভারতের বিপক্ষে সেই টেস্ট খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তীতে পেছন ফিরে তাকালে কী মনে পড়ে?

আমিনুল ইসলাম: দুর্জয় (নাঈমুর রহমান) নতুন অধিনায়ক, কোচ এডি বারলো অসুস্থ হয়ে গেলেন, ইমরান ভাই হেড কোচ, ঘরের মাঠে খেলা। আমরা একটা বড় ট্রানজিশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। মিনি ওয়ার্ল্ড কাপ খেলে এলাম কেনিয়া থেকে। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা ভরাডুবির সফর হলো। কে দলে থাকে না থাকে… সব মিলিয়ে পরিস্থিতিটা ছিল খুবই বৈরী। ঢাকায় অভিষেক টেস্টের আগে কিম্বার্লিতে আকরাম খান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দল গ্রিকল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে ১৫০ রান করেছিল। কিন্তু আমরা সবাই ১০, ১২, ১৪ করে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। সফরটা আমাদের সবার জন্যই খুব খারাপ গিয়েছিল। আকরামই একমাত্র আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছিল। দুর্জয় তো অধিনায়ক, বিদ্যুৎ–অপি (শাহরিয়ার হোসেন-মেহরাব হোসেন) কনফার্ম ওপেনার। হাবিবুল বাশার শেষ দিকে দলে ঢুকল। সবকিছু মিলিয়ে আমি দলেই ঢুকতে পারি কি না, এমন একটা অনিশ্চয়তা ছিল। দুর্জয় আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছিল। কোচ ইমরান ভাইকেও বলতে শুনছিলাম, ‘আরে, এত দিন ধরে খেলছে ও। নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন), আতহার, ফারুকরা তো খেলতে পারল না। খেলিয়ে দে ওকে টেস্ট ম্যাচ।’ তো ওইভাবেই আমার দলে ঢোকা। ভারতীয় দলে তখন শ্রীনাথ, আগারকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল, শচীন। এ রকম একটা দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি—এটা ছিল আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। ট্রেইনার, ফিজিও, মনোবিদ, ফিল্ডিং–বোলিং–ব্যাটিং কোচ—এ রকম কেউ তখন দলে ছিল না। তার মধ্যে থেকেই আমরা টেস্টটা খেলতে নামলাম। এখনকার সঙ্গে তুলনা করলে একেবারে অপ্রস্তুত ছিলাম আমরা, অপরিপক্বভাবে খেলতে নেমেছিলাম। বলতে পারেন, শুধু ক্রিকেটের বেসিক স্কিল নিয়েই আমরা সবাই প্রথম টেস্টটা খেলতে নেমেছিলাম।

প্রশ্ন: 

আপনার সেই সেঞ্চুরি? সেই স্মৃতিটাও নিশ্চয়ই এখনো তাজা…

আমিনুল: হাবিবুল খুব স্বচ্ছন্দ ক্রিকেট খেলছিল, দেখে মনে হচ্ছিল খুব সহজ ক্রিকেট খেলাটা। আবার বিদ্যুতের খেলা দেখে মনে হয়েছিল বোলিং অনেক ভালো হচ্ছে। হাবিবুলের ইনিংসটা আমাকে খুব সাহায্য করছিল। আমি জানি, একটা যুগ আসবে, যখন বলা হবে, এটা কোনো খেলা হলো! এত সময় নিয়ে খেলে! তবে আমার ইনিংসটা খুব ধৈর্যের একটা ইনিংস ছিল। প্রথম দুই উইকেট পড়ার পর প্রায় সবার সঙ্গে ব্যাট করার সুযোগ হয়েছে।

প্রশ্ন: 

টেস্ট অভিষেকের ২৫ বছর পূর্তিতে আপনি বিসিবির সভাপতি। এ রকম কাকতালীয় কিছু নিশ্চয়ই কল্পনাতেও ছিল না…

আমিনুল: আমি তো ভাগ্যবান (হাসি)! এটা দারুণ একটা ব্যাপার। বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ২৫ জুন, এ বছর সেই তারিখেও আমি সভাপতি ছিলাম। এখন নির্বাচন করে টেস্ট শুরুর দিনটাতে আবার সভাপতি। আমি খুব ভাগ্যবান আসলে। আজ থেকে ১৪–১৫ বছর আগে হবে, তখন লিপু (গাজী আশরাফ হোসেন) ভাইরা বোর্ডে… আপনাদের পত্রিকাতেই লিখেছিলাম… ‘স্টেডিয়ামে’ সম্ভবত। লিখেছিলাম, এখন থেকে আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে, আমরা কি ১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারতের সঙ্গে টেস্ট খেলব নাকি জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলব। সে হিসাব করলে এখন দেখুন, ২৫ বছর পূর্তির সময় আমরা আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেলছি! এটা বলার কারণ, এই ২৫ বছরে আমাদের যেটুক এগোনোর দরকার ছিল, আমরা তা পারিনি।

অভিষেক টেস্টে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলার এক ফাঁকে খালেদ মাসুদের সঙ্গে আমিনুল ইসলাম (বাঁয়ে)

অভিষেক টেস্টে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলার এক ফাঁকে খালেদ মাসুদের সঙ্গে আমিনুল ইসলাম (বাঁয়ে)শামসুল হক

প্রশ্ন: 

২৫ বছরে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ফারাক কতটুকু? তখন কী স্বপ্ন দেখেছিলেন?

আমিনুল: আমরা আসলে লক্ষ্যহীনভাবেই শুরু করেছিলাম। আমার কাছে মনে হয় এখনো আমরা লক্ষ্যহীনই আছি, লক্ষ্যহীনভাবেই ফরম্যাটগুলো ম্যানেজ করছি। লক্ষ্যহীন না হলে আজকে আমরা কেন এই জায়গায় থাকব? অন্য দলগুলো মাঝে মাঝে বলে, বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। আমার তো মনে হয়, অন্যান্য দল যখন খারাপ খেলে তখন আমরা বোধ হয় ভালো খেলি। টেস্ট ক্রিকেটে এখন আমরা ছয়–সাতে থাকলে হয়তো খুশি হতাম। সেটা পারিনি। আসলে প্রতিটি দেশেরই একটা প্রস্তুতি থাকে। ৫০ ওভারে আমাদের মূল খেলা লিস্ট ‘এ’ ঢাকা লিগ। লিস্ট ‘এ’র খেলা দেখে যদি আমরা ৫০ ওভারের জাতীয় দল বানাই, একইভাবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দেখে টেস্ট দল বানানোর কথা। কিন্তু এখনো দেখেন, লিপু ভাই (প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন) মিরপুর থেকে বরিশাল, রাজশাহীর দল করে দেন। এটা লক্ষ্যহীনতার আরেকটি উদাহরণ। এখনো আমরা সেখানেই পড়ে আছি। উইকেট নিয়ে পরীক্ষা চালাতে গিয়ে একসময় আমরা ৫০ মিমি ঘাস রাখি, ডিউক বল ব্যবহার করি। অনেক আগে একবার চালু হয়েছিল, দলে একজন লেগ স্পিনার রাখতেই হবে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তগুলোতে ধারাবাহিক থাকতে পারি না, এটা একটা কারণ। খেলোয়াড় তো তৈরি করতে হয়, আর সে জন্য একটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ আবহ তৈরি করে দিতে হয়। সেটা আমরা এখনো পারিনি। এটা আমি সরলভাবে স্বীকার করে নিচ্ছি।

প্রশ্ন: 

তার মানে গত ২৫ বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রশাসন যেভাবে কাজ করছে, সেখানে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব ছিল?

আমিনুল: এখনো কি আমাদের ওই রকম কোনো স্ট্র্যাটেজি আছে? একটা মিশন যে থাকবে, ওইভাবে তো কিছু নেই। হয়তো আমরা কয়দিন ধরে ট্রিপল সেঞ্চুরি বা এটা–ওটা বলছি, কিন্তু এটা কার্যকর করতে অনেক সময় লাগবে। আমরা এই সংস্করণে ওখানে পৌঁছাব, ওই সংস্করণে এখানে পৌঁছাব—এ রকম কোনো লক্ষ্য ছিল না কখনোই।আমাদের মেইন ফোকাস তো হচ্ছে তৃণমূলে, যেখান থেকে ১০ বছর পর ভালো ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে। তাই বলে ১০ বছর বসে থাকলাম, ১০ বছর পর ফল আসবে, এটাও না। সব জায়গায় এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা উচিত।

প্রশ্ন: 

ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকেও কি বাংলাদেশ উপযুক্ত মানে নিতে পেরেছে? জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরাও অনেক সময় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী হন না। সবকিছু মিলিয়ে সবার মানসিকতাও কি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পর্যায়ে যায়নি?

আমিনুল: এটা ভালো বলছেন। যারা নিয়মিত টেস্ট খেলে, তাদেরই তো আরও বেশি করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা উচিত। আপনার হাতের লেখা তখনই ভালো হবে যখন বেশি করে হাতের লেখা লিখবেন। প্রতিটি জিনিসের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের কথা আমরা বলি, তবে সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি কিন্তু অনূর্ধ্ব–১৯ বা অনূর্ধ্ব–১৭ পর্যায়ে হওয়া উচিত। তাদের দুই–তিন দিনের খেলা খেলাতে হবে; যাতে তাদের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটার হিসেবে তৈরি করা যায়। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে টেম্পারামেন্টের দরকার হয়, সঠিক বল বেছে নেওয়ার সামর্থ্য দরকার হয়, ধৈর্য দরকার হয়, আবার বোলারদের অনেকক্ষণ বল করার সামর্থ্য দরকার হয়। চার ওভারের টি-টোয়েন্টি খেলে ওই সব হয় না। ভালো কোচ ভালো খেলোয়াড় তৈরি করে। আমাদের তো ওটাও হয়নি। একজন মাত্র কোচ হয়েছে দেশে। দেশব্যাপী কোচের অভাব, দেশব্যাপী খেলোয়াড়দের বড় বড় ইনিংস খেলার সুযোগের অভাব। অনেকটা ডমিনো এফেক্ট বলা যায় এটাকে। অনেকে আমাকে বলেন, আমরা জাতীয় দলের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি না। আসলে আমাদের মেইন ফোকাস তো হচ্ছে তৃণমূলে, যেখান থেকে ১০ বছর পর ভালো ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে। তাই বলে ১০ বছর বসে থাকলাম, ১০ বছর পর ফল আসবে, এটাও না। সব জায়গায় এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা উচিত।

অভিষেক টেস্টের বাংলাদেশ দল

অভিষেক টেস্টের বাংলাদেশ দলশামসুল হক

প্রশ্ন: 

টি–টোয়েন্টির জনপ্রিয়তাও কি দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কোনোভাবে উদাসীন করেছে?

আমিনুল: দেখুন, কিছু মানুষ খেলে, কিছু মানুষ খেলাটা পরিচালনা করে, আবার কেউ খেলা উপভোগ করে। যারা খেলাটা পরিচালনা করে, মানে পেছনে থাকে, বোর্ড কর্মকর্তা বলেন বা অফিশিয়ালস, তাদের কখনো নিজের অবস্থান থেকে নড়তে হয় না। তাদের স্থির থাকতে হয়। আইসিসির সভায় আমি কিন্তু খুব জোর গলায় বলেছি, আমাদের যত বেশি টেস্ট খেলতে দেওয়া হবে এবং যত বেশি আমরা বেশি ওভারের ম্যাচ খেলব, যত বেশি টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটার তৈরি হয়ে আসবে। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে আমরা কিন্তু ভালো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার তৈরি করতে পারব না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করে, সে গড়ে পায় ৯ বল। তো সে কী প্র্যাকটিস করবে! এ জন্য ওকে ৫০ ওভারের খেলা খেলতেই হবে। আবার ৫০ ওভারের খেলা খেলতে হলে আপনাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলতেই হবে। যারা এই খেলাগুলো পরিচালনা করে, রিসার্চ করে, তাদের চিন্তা কখনো বদলানো উচিত নয়। সব পরিবর্তন ভালো নয়। তবে এবারের আইসিসির মিটিংয়ে আমার মনে হয়েছে, আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটে অনেক তাড়াতাড়ি ওপরে চলে যাওয়ার। কারণ, আমাদের দেশে খেলাটার জনপ্রিয়তা আছে, মানুষের আগ্রহ আছে এবং সবচেয়ে বড় কথা একটা বড় বাজার আছে, যেটা এখনো আমরা উন্মোচনই করিনি। আমি খুব আশাবাদী যে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা ভালো করব।

প্রশ্ন: 

আশা পূরণের দায়িত্বটাও তো আপনারই কাঁধে এখন। একটু কি বলবেন, টেস্ট ক্রিকেটে উন্নয়নের জন্য সামনে কী কী উদ্যোগ আপনি নেবেন?

আমিনুল: দুইভাবে এটা হতে পারে। একটা হচ্ছে, এখন যেভাবে চলছে সেভাবে। কিন্তু এটা তো পরীক্ষিত যে এটা ভালো হয়নি। এখন আমরা যেটা করব, প্রথম শ্রেণির দল গঠনের জন্য বিভাগীয় নির্বাচক নেব। এ ছাড়া আমরা চেষ্টা করব খেলাটা যেন স্পোর্টিং উইকেটে হয়। এটা পুরোপুরি করতে এক থেকে দুই বছর লাগবে। যারা ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলে, কোচ, স্টাফ তারা যেন আর্থিকভাবে নিরাপদ থাকে। এটাই হবে আসল বিনিয়োগ বাংলাদেশের ক্রিকেটে। আশা করি, পরবর্তী প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকেই এটা দেখতে পাবেন।

অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির পর আমিনুল ইসলাম

অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির পর আমিনুল ইসলামশামসুল হক

প্রশ্ন: 

আরও ২৫ বছর পর তো টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। তখন টেস্টে বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চাইবেন?

আমিনুল: তখন আমার বয়স কত হবে… (হাসি)! তত দিন বেঁচে থাকব কি না জানি না। যদি বেঁচে থাকি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটটাই তত দিনে বাংলাদেশের প্রধান খেলা হবে, এটা চাইব। তত দিন আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থাকবে কি না জানি না। ওয়ানডে, টি–টোয়েন্টির কী হবে, তা–ও জানি না। তবে সব ফরম্যাট থাকলে আমরা তিন ফরম্যাটেই আরও ২৫ বছর ধরে ভালো খেলব এবং আশা করি, সবাই তা উপভোগ করবে। যদি তত দিন র‍্যাঙ্কিং সিস্টেম থাকে, আমরা এক–দুই নম্বর দল হতে চাই। এটা অবাস্তব কিছু নয়, এটা সম্ভব। সমৃদ্ধিশালী একটা ক্রিকেট জাতি হতে চাই আমরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি দলেই ঢুকতে পারি কি না, এমন একটা অনিশ্চয়তা ছিল’

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রশ্ন: 

বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। আপনি তো ভারতের বিপক্ষে সেই টেস্ট খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তীতে পেছন ফিরে তাকালে কী মনে পড়ে?

আমিনুল ইসলাম: দুর্জয় (নাঈমুর রহমান) নতুন অধিনায়ক, কোচ এডি বারলো অসুস্থ হয়ে গেলেন, ইমরান ভাই হেড কোচ, ঘরের মাঠে খেলা। আমরা একটা বড় ট্রানজিশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। মিনি ওয়ার্ল্ড কাপ খেলে এলাম কেনিয়া থেকে। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা ভরাডুবির সফর হলো। কে দলে থাকে না থাকে… সব মিলিয়ে পরিস্থিতিটা ছিল খুবই বৈরী। ঢাকায় অভিষেক টেস্টের আগে কিম্বার্লিতে আকরাম খান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দল গ্রিকল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে ১৫০ রান করেছিল। কিন্তু আমরা সবাই ১০, ১২, ১৪ করে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। সফরটা আমাদের সবার জন্যই খুব খারাপ গিয়েছিল। আকরামই একমাত্র আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছিল। দুর্জয় তো অধিনায়ক, বিদ্যুৎ–অপি (শাহরিয়ার হোসেন-মেহরাব হোসেন) কনফার্ম ওপেনার। হাবিবুল বাশার শেষ দিকে দলে ঢুকল। সবকিছু মিলিয়ে আমি দলেই ঢুকতে পারি কি না, এমন একটা অনিশ্চয়তা ছিল। দুর্জয় আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছিল। কোচ ইমরান ভাইকেও বলতে শুনছিলাম, ‘আরে, এত দিন ধরে খেলছে ও। নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন), আতহার, ফারুকরা তো খেলতে পারল না। খেলিয়ে দে ওকে টেস্ট ম্যাচ।’ তো ওইভাবেই আমার দলে ঢোকা। ভারতীয় দলে তখন শ্রীনাথ, আগারকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল, শচীন। এ রকম একটা দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি—এটা ছিল আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। ট্রেইনার, ফিজিও, মনোবিদ, ফিল্ডিং–বোলিং–ব্যাটিং কোচ—এ রকম কেউ তখন দলে ছিল না। তার মধ্যে থেকেই আমরা টেস্টটা খেলতে নামলাম। এখনকার সঙ্গে তুলনা করলে একেবারে অপ্রস্তুত ছিলাম আমরা, অপরিপক্বভাবে খেলতে নেমেছিলাম। বলতে পারেন, শুধু ক্রিকেটের বেসিক স্কিল নিয়েই আমরা সবাই প্রথম টেস্টটা খেলতে নেমেছিলাম।

প্রশ্ন: 

আপনার সেই সেঞ্চুরি? সেই স্মৃতিটাও নিশ্চয়ই এখনো তাজা…

আমিনুল: হাবিবুল খুব স্বচ্ছন্দ ক্রিকেট খেলছিল, দেখে মনে হচ্ছিল খুব সহজ ক্রিকেট খেলাটা। আবার বিদ্যুতের খেলা দেখে মনে হয়েছিল বোলিং অনেক ভালো হচ্ছে। হাবিবুলের ইনিংসটা আমাকে খুব সাহায্য করছিল। আমি জানি, একটা যুগ আসবে, যখন বলা হবে, এটা কোনো খেলা হলো! এত সময় নিয়ে খেলে! তবে আমার ইনিংসটা খুব ধৈর্যের একটা ইনিংস ছিল। প্রথম দুই উইকেট পড়ার পর প্রায় সবার সঙ্গে ব্যাট করার সুযোগ হয়েছে।

প্রশ্ন: 

টেস্ট অভিষেকের ২৫ বছর পূর্তিতে আপনি বিসিবির সভাপতি। এ রকম কাকতালীয় কিছু নিশ্চয়ই কল্পনাতেও ছিল না…

আমিনুল: আমি তো ভাগ্যবান (হাসি)! এটা দারুণ একটা ব্যাপার। বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ২৫ জুন, এ বছর সেই তারিখেও আমি সভাপতি ছিলাম। এখন নির্বাচন করে টেস্ট শুরুর দিনটাতে আবার সভাপতি। আমি খুব ভাগ্যবান আসলে। আজ থেকে ১৪–১৫ বছর আগে হবে, তখন লিপু (গাজী আশরাফ হোসেন) ভাইরা বোর্ডে… আপনাদের পত্রিকাতেই লিখেছিলাম… ‘স্টেডিয়ামে’ সম্ভবত। লিখেছিলাম, এখন থেকে আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে, আমরা কি ১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারতের সঙ্গে টেস্ট খেলব নাকি জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলব। সে হিসাব করলে এখন দেখুন, ২৫ বছর পূর্তির সময় আমরা আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেলছি! এটা বলার কারণ, এই ২৫ বছরে আমাদের যেটুক এগোনোর দরকার ছিল, আমরা তা পারিনি।

অভিষেক টেস্টে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলার এক ফাঁকে খালেদ মাসুদের সঙ্গে আমিনুল ইসলাম (বাঁয়ে)

অভিষেক টেস্টে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলার এক ফাঁকে খালেদ মাসুদের সঙ্গে আমিনুল ইসলাম (বাঁয়ে)শামসুল হক

প্রশ্ন: 

২৫ বছরে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ফারাক কতটুকু? তখন কী স্বপ্ন দেখেছিলেন?

আমিনুল: আমরা আসলে লক্ষ্যহীনভাবেই শুরু করেছিলাম। আমার কাছে মনে হয় এখনো আমরা লক্ষ্যহীনই আছি, লক্ষ্যহীনভাবেই ফরম্যাটগুলো ম্যানেজ করছি। লক্ষ্যহীন না হলে আজকে আমরা কেন এই জায়গায় থাকব? অন্য দলগুলো মাঝে মাঝে বলে, বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। আমার তো মনে হয়, অন্যান্য দল যখন খারাপ খেলে তখন আমরা বোধ হয় ভালো খেলি। টেস্ট ক্রিকেটে এখন আমরা ছয়–সাতে থাকলে হয়তো খুশি হতাম। সেটা পারিনি। আসলে প্রতিটি দেশেরই একটা প্রস্তুতি থাকে। ৫০ ওভারে আমাদের মূল খেলা লিস্ট ‘এ’ ঢাকা লিগ। লিস্ট ‘এ’র খেলা দেখে যদি আমরা ৫০ ওভারের জাতীয় দল বানাই, একইভাবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দেখে টেস্ট দল বানানোর কথা। কিন্তু এখনো দেখেন, লিপু ভাই (প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন) মিরপুর থেকে বরিশাল, রাজশাহীর দল করে দেন। এটা লক্ষ্যহীনতার আরেকটি উদাহরণ। এখনো আমরা সেখানেই পড়ে আছি। উইকেট নিয়ে পরীক্ষা চালাতে গিয়ে একসময় আমরা ৫০ মিমি ঘাস রাখি, ডিউক বল ব্যবহার করি। অনেক আগে একবার চালু হয়েছিল, দলে একজন লেগ স্পিনার রাখতেই হবে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তগুলোতে ধারাবাহিক থাকতে পারি না, এটা একটা কারণ। খেলোয়াড় তো তৈরি করতে হয়, আর সে জন্য একটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ আবহ তৈরি করে দিতে হয়। সেটা আমরা এখনো পারিনি। এটা আমি সরলভাবে স্বীকার করে নিচ্ছি।

প্রশ্ন: 

তার মানে গত ২৫ বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রশাসন যেভাবে কাজ করছে, সেখানে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব ছিল?

আমিনুল: এখনো কি আমাদের ওই রকম কোনো স্ট্র্যাটেজি আছে? একটা মিশন যে থাকবে, ওইভাবে তো কিছু নেই। হয়তো আমরা কয়দিন ধরে ট্রিপল সেঞ্চুরি বা এটা–ওটা বলছি, কিন্তু এটা কার্যকর করতে অনেক সময় লাগবে। আমরা এই সংস্করণে ওখানে পৌঁছাব, ওই সংস্করণে এখানে পৌঁছাব—এ রকম কোনো লক্ষ্য ছিল না কখনোই।আমাদের মেইন ফোকাস তো হচ্ছে তৃণমূলে, যেখান থেকে ১০ বছর পর ভালো ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে। তাই বলে ১০ বছর বসে থাকলাম, ১০ বছর পর ফল আসবে, এটাও না। সব জায়গায় এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা উচিত।

প্রশ্ন: 

ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকেও কি বাংলাদেশ উপযুক্ত মানে নিতে পেরেছে? জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরাও অনেক সময় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী হন না। সবকিছু মিলিয়ে সবার মানসিকতাও কি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পর্যায়ে যায়নি?

আমিনুল: এটা ভালো বলছেন। যারা নিয়মিত টেস্ট খেলে, তাদেরই তো আরও বেশি করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা উচিত। আপনার হাতের লেখা তখনই ভালো হবে যখন বেশি করে হাতের লেখা লিখবেন। প্রতিটি জিনিসের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের কথা আমরা বলি, তবে সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি কিন্তু অনূর্ধ্ব–১৯ বা অনূর্ধ্ব–১৭ পর্যায়ে হওয়া উচিত। তাদের দুই–তিন দিনের খেলা খেলাতে হবে; যাতে তাদের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটার হিসেবে তৈরি করা যায়। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে টেম্পারামেন্টের দরকার হয়, সঠিক বল বেছে নেওয়ার সামর্থ্য দরকার হয়, ধৈর্য দরকার হয়, আবার বোলারদের অনেকক্ষণ বল করার সামর্থ্য দরকার হয়। চার ওভারের টি-টোয়েন্টি খেলে ওই সব হয় না। ভালো কোচ ভালো খেলোয়াড় তৈরি করে। আমাদের তো ওটাও হয়নি। একজন মাত্র কোচ হয়েছে দেশে। দেশব্যাপী কোচের অভাব, দেশব্যাপী খেলোয়াড়দের বড় বড় ইনিংস খেলার সুযোগের অভাব। অনেকটা ডমিনো এফেক্ট বলা যায় এটাকে। অনেকে আমাকে বলেন, আমরা জাতীয় দলের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি না। আসলে আমাদের মেইন ফোকাস তো হচ্ছে তৃণমূলে, যেখান থেকে ১০ বছর পর ভালো ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে। তাই বলে ১০ বছর বসে থাকলাম, ১০ বছর পর ফল আসবে, এটাও না। সব জায়গায় এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা উচিত।

অভিষেক টেস্টের বাংলাদেশ দল

অভিষেক টেস্টের বাংলাদেশ দলশামসুল হক

প্রশ্ন: 

টি–টোয়েন্টির জনপ্রিয়তাও কি দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কোনোভাবে উদাসীন করেছে?

আমিনুল: দেখুন, কিছু মানুষ খেলে, কিছু মানুষ খেলাটা পরিচালনা করে, আবার কেউ খেলা উপভোগ করে। যারা খেলাটা পরিচালনা করে, মানে পেছনে থাকে, বোর্ড কর্মকর্তা বলেন বা অফিশিয়ালস, তাদের কখনো নিজের অবস্থান থেকে নড়তে হয় না। তাদের স্থির থাকতে হয়। আইসিসির সভায় আমি কিন্তু খুব জোর গলায় বলেছি, আমাদের যত বেশি টেস্ট খেলতে দেওয়া হবে এবং যত বেশি আমরা বেশি ওভারের ম্যাচ খেলব, যত বেশি টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটার তৈরি হয়ে আসবে। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে আমরা কিন্তু ভালো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার তৈরি করতে পারব না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করে, সে গড়ে পায় ৯ বল। তো সে কী প্র্যাকটিস করবে! এ জন্য ওকে ৫০ ওভারের খেলা খেলতেই হবে। আবার ৫০ ওভারের খেলা খেলতে হলে আপনাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলতেই হবে। যারা এই খেলাগুলো পরিচালনা করে, রিসার্চ করে, তাদের চিন্তা কখনো বদলানো উচিত নয়। সব পরিবর্তন ভালো নয়। তবে এবারের আইসিসির মিটিংয়ে আমার মনে হয়েছে, আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটে অনেক তাড়াতাড়ি ওপরে চলে যাওয়ার। কারণ, আমাদের দেশে খেলাটার জনপ্রিয়তা আছে, মানুষের আগ্রহ আছে এবং সবচেয়ে বড় কথা একটা বড় বাজার আছে, যেটা এখনো আমরা উন্মোচনই করিনি। আমি খুব আশাবাদী যে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা ভালো করব।

প্রশ্ন: 

আশা পূরণের দায়িত্বটাও তো আপনারই কাঁধে এখন। একটু কি বলবেন, টেস্ট ক্রিকেটে উন্নয়নের জন্য সামনে কী কী উদ্যোগ আপনি নেবেন?

আমিনুল: দুইভাবে এটা হতে পারে। একটা হচ্ছে, এখন যেভাবে চলছে সেভাবে। কিন্তু এটা তো পরীক্ষিত যে এটা ভালো হয়নি। এখন আমরা যেটা করব, প্রথম শ্রেণির দল গঠনের জন্য বিভাগীয় নির্বাচক নেব। এ ছাড়া আমরা চেষ্টা করব খেলাটা যেন স্পোর্টিং উইকেটে হয়। এটা পুরোপুরি করতে এক থেকে দুই বছর লাগবে। যারা ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলে, কোচ, স্টাফ তারা যেন আর্থিকভাবে নিরাপদ থাকে। এটাই হবে আসল বিনিয়োগ বাংলাদেশের ক্রিকেটে। আশা করি, পরবর্তী প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকেই এটা দেখতে পাবেন।

অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির পর আমিনুল ইসলাম

অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির পর আমিনুল ইসলামশামসুল হক

প্রশ্ন: 

আরও ২৫ বছর পর তো টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। তখন টেস্টে বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চাইবেন?

আমিনুল: তখন আমার বয়স কত হবে… (হাসি)! তত দিন বেঁচে থাকব কি না জানি না। যদি বেঁচে থাকি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটটাই তত দিনে বাংলাদেশের প্রধান খেলা হবে, এটা চাইব। তত দিন আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থাকবে কি না জানি না। ওয়ানডে, টি–টোয়েন্টির কী হবে, তা–ও জানি না। তবে সব ফরম্যাট থাকলে আমরা তিন ফরম্যাটেই আরও ২৫ বছর ধরে ভালো খেলব এবং আশা করি, সবাই তা উপভোগ করবে। যদি তত দিন র‍্যাঙ্কিং সিস্টেম থাকে, আমরা এক–দুই নম্বর দল হতে চাই। এটা অবাস্তব কিছু নয়, এটা সম্ভব। সমৃদ্ধিশালী একটা ক্রিকেট জাতি হতে চাই আমরা।