ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এবারের মিস ইউনিভার্সে কী হয়েছিল মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশের সঙ্গে? স্বপ্ন নিয়েতে লিখতে এসে যেভাবে নিজেকে ‘আবিষ্কার’ করলাম যে ৫ উপায়ে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি হবেন আরও সুখী বিসিএসে রিপিট ক্যাডার বন্ধ কেন জরুরি, এতে লাভ কার? জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নিয়োগ, পদ ১০১ ৫০তম বিসিএস: নন-ক্যাডার পদ নির্ধারিত না হওয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিলম্ব ‘সিন্ডিকেট’ ছেড়ে আফসোস করি: তাসনুভা তিশা জন্মদিনে নানা রকম মিম, রইল ১২টি ছবি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আর কিছু বলতে চান না অস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী আর্জেন্টিনা দলের সবার শরীরে ট্যাটু, আলভারেজের নেই কেন

খুলনা-২ আসনে বিএনপির বিভক্তি এখনো কাটেনি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে দলের ভেতরে দ্বিধাবিভক্তি এখনো কাটেনি। সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে (মঞ্জু) প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নগর বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অনেক নেতা এবং তাঁদের অনুসারীরা তা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের ভাষ্য, নজরুল ইসলাম চার বছর ধরে দলীয় ঐক্য নষ্টে ভূমিকা রেখেছেন।

খুলনা-২ আসনে (খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৬-৩১ নম্বর ওয়ার্ড)  মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন নজরুল ইসলাম এবং তাঁর বিরোধী হিসেবে পরিচিত খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম (মনা) ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম (তুহিন)। এর মধ্যে নজরুল ইসলামকেই বেছে নিয়েছে বিএনপি। অপর দুজন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনে মনোনয়ন পাওয়া রকিবুল ইসলামের (বকুল) অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

দল সূত্রে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থীদের বিরোধ মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিলেও খুলনা-২ আসনে তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। নগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে নজরুল ইসলামের এখনো সরাসরি কথা হয়নি। এমনকি প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পরও ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দুই পক্ষ আলাদা কর্মসূচি পালন করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম এখন বিভক্ত দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন। গত শুক্রবার রাত আটটা থেকে কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে তিনি বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন। সেখানে মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে নজরুল ইসলামের প্রার্থিতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শুরুতে রকিবুল ইসলাম কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও নির্বাচনী কৌশল তুলে ধরেন এবং ঐক্যের আহ্বান জানান। পরের আলোচনায় নেতারা অভিযোগ করেন, নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন দল থেকে দূরে ছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি এবং বারবার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন।

বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা রকিবুল ইসলামকে জানিয়েছি, নজরুল ইসলাম মঞ্জু অতীতে জিয়া পরিবার নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া আমাদের জন্য কঠিন। আমরা বলেছি, এই আসনে জিয়া পরিবারের কাউকে বা প্রয়োজনে রকিবুল ইসলাম বকুলকেই প্রার্থী করা হোক।’

অন্য এক নেতা বলেন, ‘নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মঞ্জু (নজরুল ইসলাম) নিজেকে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। পরে পদত্যাগ করা কিছু নেতাকে আশ্রয় দিয়ে তিনি বিভক্তি আরও গভীর করেছেন। এখন দেখা যাচ্ছে, যাঁরা দল ছেড়েছিলেন, তাঁরাই বিএনপির নামে ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণা করছেন। এতে আমাদের মতো তৃণমূলের কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। মনোনয়নের আগে অন্তত আমাদের মতামত নেওয়া উচিত ছিল।’

নগর বিএনপির আগের আহ্বায়ক কমিটির এক নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম অভিযোগ শুনেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরবেন।

খুলনা সদর থানা বিএনপির সভাপতি হুমায়ূন কবির রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, দীর্ঘ সময়ের ওই বৈঠকে খুলনার সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি, ১৬ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি এবং সব অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেক নেতাই খুলনা-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম তৃণমূলের এই মত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ হারান নজরুল ইসলাম। সে সময় আহ্বায়ক করা হয় শফিকুল আলমকে (মনা) ও সদস্যসচিব করা হয় শফিকুল আলমকে (তুহিন)। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলামের অনুসারীরা খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাঁর অনুসারী পাঁচ শতাধিক নেতা সেসময় পদত্যাগ করেন। এরপর নজরুল ইসলামকে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে সম্মেলন হলে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি হন শফিকুল আলম (মনা) ও সাধারণ সম্পাদক হন শফিকুল আলম (তুহিন)।

তবে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থকেরা বলছেন, দলীয় পদ হারানোর পরও রাজনীতি থেকে সরে যাননি নজরুল ইসলাম। বিভিন্ন ব্যানারে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁর অনুসারীদের নিয়ে। খুলনায় বিভিন্ন সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও সামাজিক আয়োজনে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। জুলাই গণ–অভ্যুথানেও তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি ছিল।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলামের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে সম্প্রতি নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুলনায় বিভক্তির রাজনীতির চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এখনো আছে, আমরা সেটা মোকাবিলা করব। মনোনয়নকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে বলে মনে করি। এখন প্রার্থীকেন্দ্রিক রাজনীতিকেই সাজাতে হবে।’

এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম (তুহিন) বলেন, ‘তৃণমূল নেতারা দলের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে যেকোনো দাবি জানাতে পারেন। শেষ পর্যন্ত আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খুলনা-২ আসনে বিএনপির বিভক্তি এখনো কাটেনি

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে দলের ভেতরে দ্বিধাবিভক্তি এখনো কাটেনি। সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে (মঞ্জু) প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নগর বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অনেক নেতা এবং তাঁদের অনুসারীরা তা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের ভাষ্য, নজরুল ইসলাম চার বছর ধরে দলীয় ঐক্য নষ্টে ভূমিকা রেখেছেন।

খুলনা-২ আসনে (খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৬-৩১ নম্বর ওয়ার্ড)  মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন নজরুল ইসলাম এবং তাঁর বিরোধী হিসেবে পরিচিত খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম (মনা) ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম (তুহিন)। এর মধ্যে নজরুল ইসলামকেই বেছে নিয়েছে বিএনপি। অপর দুজন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনে মনোনয়ন পাওয়া রকিবুল ইসলামের (বকুল) অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

দল সূত্রে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থীদের বিরোধ মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিলেও খুলনা-২ আসনে তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। নগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে নজরুল ইসলামের এখনো সরাসরি কথা হয়নি। এমনকি প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পরও ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দুই পক্ষ আলাদা কর্মসূচি পালন করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম এখন বিভক্ত দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন। গত শুক্রবার রাত আটটা থেকে কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে তিনি বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন। সেখানে মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে নজরুল ইসলামের প্রার্থিতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শুরুতে রকিবুল ইসলাম কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও নির্বাচনী কৌশল তুলে ধরেন এবং ঐক্যের আহ্বান জানান। পরের আলোচনায় নেতারা অভিযোগ করেন, নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন দল থেকে দূরে ছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি এবং বারবার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন।

বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা রকিবুল ইসলামকে জানিয়েছি, নজরুল ইসলাম মঞ্জু অতীতে জিয়া পরিবার নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া আমাদের জন্য কঠিন। আমরা বলেছি, এই আসনে জিয়া পরিবারের কাউকে বা প্রয়োজনে রকিবুল ইসলাম বকুলকেই প্রার্থী করা হোক।’

অন্য এক নেতা বলেন, ‘নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মঞ্জু (নজরুল ইসলাম) নিজেকে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। পরে পদত্যাগ করা কিছু নেতাকে আশ্রয় দিয়ে তিনি বিভক্তি আরও গভীর করেছেন। এখন দেখা যাচ্ছে, যাঁরা দল ছেড়েছিলেন, তাঁরাই বিএনপির নামে ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণা করছেন। এতে আমাদের মতো তৃণমূলের কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। মনোনয়নের আগে অন্তত আমাদের মতামত নেওয়া উচিত ছিল।’

নগর বিএনপির আগের আহ্বায়ক কমিটির এক নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম অভিযোগ শুনেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরবেন।

খুলনা সদর থানা বিএনপির সভাপতি হুমায়ূন কবির রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, দীর্ঘ সময়ের ওই বৈঠকে খুলনার সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি, ১৬ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি এবং সব অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেক নেতাই খুলনা-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম তৃণমূলের এই মত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ হারান নজরুল ইসলাম। সে সময় আহ্বায়ক করা হয় শফিকুল আলমকে (মনা) ও সদস্যসচিব করা হয় শফিকুল আলমকে (তুহিন)। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলামের অনুসারীরা খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাঁর অনুসারী পাঁচ শতাধিক নেতা সেসময় পদত্যাগ করেন। এরপর নজরুল ইসলামকে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে সম্মেলন হলে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি হন শফিকুল আলম (মনা) ও সাধারণ সম্পাদক হন শফিকুল আলম (তুহিন)।

তবে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থকেরা বলছেন, দলীয় পদ হারানোর পরও রাজনীতি থেকে সরে যাননি নজরুল ইসলাম। বিভিন্ন ব্যানারে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁর অনুসারীদের নিয়ে। খুলনায় বিভিন্ন সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও সামাজিক আয়োজনে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। জুলাই গণ–অভ্যুথানেও তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি ছিল।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলামের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে সম্প্রতি নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুলনায় বিভক্তির রাজনীতির চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এখনো আছে, আমরা সেটা মোকাবিলা করব। মনোনয়নকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে বলে মনে করি। এখন প্রার্থীকেন্দ্রিক রাজনীতিকেই সাজাতে হবে।’

এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম (তুহিন) বলেন, ‘তৃণমূল নেতারা দলের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে যেকোনো দাবি জানাতে পারেন। শেষ পর্যন্ত আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করব।’